মৌলভীবাজারের কুলাউড়া শহরের প্রধান সড়কের দুই পাশের ফুটপাত ২ দিন আগেও ছিল হকারদের দখলে। নিত্যদিন হকাররা ফুটপাতে বিভিন্ন পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসতেন। পণ্য বেচাকেনার কারণে ফুটপাতে মানুষের ভিড় লেগে থাকত। এতে ফুটপাত দিয়ে হেঁটে চলা কষ্টকর হয়ে পড়ত এলাকাবাসীর । ভোগান্তি নিয়ে শহরে মানুষের যাতায়াত করতে হতো। সেই প্রধান সড়কসহ অধিকাংশ সড়কের ফুটপাত এখন প্রায় ফাঁকা।
প্রশাসন ও পুলিশের কঠোর তৎপরতায় ফুটপাতগুলো দখলমুক্ত করা হয়েছে। ফলে স্বস্তি নিয়ে ফুটপাত দিয়ে হাঁটতে পারছেন পৌরবাসীসহ উপজেলার মানুষ।
জানা গেছে, কুলাউড়া পৌর শহরের ব্যস্ততম এলাকা বাসস্ট্যান্ড থেকে উত্তরবাজার পর্যন্ত যানজট কমাতে ও ফুটপাত দখলমুক্ত করতে সোমবার উচ্ছেদ অভিযান চালায় উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসন। ফুটপাতে হকার আবার যাতে না বসে সে জন্য অভিযানের পরদিন মঙ্গলবারও তদারকি করেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
বুধবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে সরেজমিনে পৌর শহর ঘুরে দেখা যায়, অবৈধ পার্কিং ও ফুটপাতে হকার না থাকায় শহর প্রায় পুরোপুরি ফাঁকা। নেই কোলাহল। ফাঁকা ফুটপাত দিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে চলাচল করছেন পথচারীরা।
উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসনের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন পৌরবাসী। তারা বলছেন, শুধু একদিন অভিযান চালালে হবে না। অভিযান অব্যাহত থাকতে হবে।
ফুটপাত দিয়ে চলাচলকারী মতিন মিয়া নামে এক পথচারী জানান, অনেকদিন পর কুলাউড়া শহরের ফুটপাত এতো ফাঁকা দেখে খুব ভালো লাগছে। তবে দেখার বিষয় হলো কতদিন এটি থাকে। আশা করবো, আমাদের প্রিয় শহর ২ বা ৩ দিনের জন্য নয়; সবসময় যেনো এমন থাকে।
মতিনের মতো আরও কয়েকজন পথচারী বলেন, ফাঁকা সড়কে খুব ভালো লাগছে। কিছুদিন আগেও হকারদের কারণে হাঁটা যাচ্ছিলো না। এর জন্য উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসনকে অনেক ধন্যবাদ।
কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. গোলাম আপছার জানান, ফুটপাতে এখন আর কোনো হকার বসতে পারবেনা। সাধারণ মানুষরা ফুটপাত দিয়ে যাতে স্বাচ্ছন্দ্যে চলাফেরা করতে পারেন- সেলক্ষ্যে পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসন যৌথভাবে কাজ করবে।
শহরের যানজট কমানোর পাশাপাশি সৌন্দর্য ও নিরাপদ করতেই এমন উদ্যোগ জানিয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহ জহুরুল হোসেন বলেন, কুলাউড়া শহরকে সুশৃঙ্খল ও যানজটমুক্ত করতে পুলিশ ও শহরবাসীকে নিয়ে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, মো. মহিউদ্দিনের জানান, পৌরবাসীসহ শহরে আগত লোকদের যানজটমুক্ত নিরাপদ চলাচলে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
Related