আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে জলবায়ু সম্মেলনে বাংলাদেশের মে মাসে তীব্র তাপপ্রবাহ, ছয়বারের বন্যা আর ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতির চিত্র তুলে ধরা হল । শুক্রবার বাংলাদেশের ২০টি নাগরিক সংগঠনের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র তুলে ধরা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য দেন বেসরকারি সংস্থা নেচার কনজারভেশন ম্যানেজমেন্টের (নেকম) নির্বাহী পরিচালক মনজুরুল হান্নান খান, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক আইনুন নিশাত এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম।
মনজুরুল হান্নান খান বলেন, বাংলাদেশের দীর্ঘ উপকূলে প্রায় পাঁচ কোটি মানুষ বাস করে। উপকূলের অধিবাসীরা প্রতিবছর লবণাক্ততা বেড়ে যাওয়া, ঘূর্ণিঝড়সহ নানা ধরনের দুর্যোগের মুখে পড়ছে। দেশের উত্তরাঞ্চলের পর এ বছর স্মরণকালের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক বন্যা আঘাত হানে ফেনী-নোয়াখালীতে। এ বছর ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে প্রায় সাত হাজার কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিশ্বব্যাংক থেকে আশঙ্কা করা হচ্ছে, ২০৫০ সালের মধ্যে দুই কোটি উপকূলবাসী জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাস্তুচ্যুত হতে পারে।