মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের দুই বছর তিন মাস পর প্রকাশ করা হল পূর্ণাঙ্গ কমিটি। যদিও প্রকাশিত তালিকায় তারিখ দেয়া হয়েছে সম্মেলনের এক মাস পরের। ৭১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটির কমিটির সভাপতি হয়েছেন রফিকুল ইসলাম রেনু, সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে আসম কামরুল ইসলামকে। সিনিয়র সহ-সভাপতি একেএম সফি আহমদ সলমান, সহ-সভাপতি ডা. রুকন উদ্দন আহমদ, অ্যাড. আতাউর রহমান শামিম, শফিউল আলম শফি, অরবিন্দু ঘোষ বিন্দু, সিএম জয়নাল আবেদিন, মনিরুর ইসলাম চৌধুরী, মনসুর আহমদ চৌধুরী, কামাল হাসান।
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন যথাক্রমে- শ্রী গোরা দে, অধ্যক্ষ আব্দুল কাদির, অধ্যক্ষ সিপার উদ্দিন আহমদ। তিন সাংগঠনিক সম্পাদক হচ্ছেন যথাক্রমে- প্রভাষক মমদুদ হোসেন, বদরুল ইসলাম বদর ও জামাল হোসেন। এছাড়াও সাবেক এমপি ও দলের সাবেক সভাপতি আব্দুল মতিন কে ১ নং সদস্য করা হয়েছে।
বিগত স্থানীয় নির্বাচনে যারা বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছিলেন এবং বিদ্রোহী প্রার্থীকে সমর্থন করেছিলেন তারা স্থান করে নিয়েছেন কমিটিতে। বিদ্রোহীদের বিষয়ে কঠোর নির্দেশনা ছিলো দলীয় হাইকমান্ডের। কিন্তু মানা হয় নি সেই নির্দেশনা । এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। বিগত ইউনিয়ন নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী সাত জন রয়েছেন কমিটিতে। তাদের মধ্যে ভাটেরা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান সৈয়দ একেএম নজরুল ইসলাম, বরমচাল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খোরশেদ আহমদ খান সুইট, শরীফপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান, কর্মধার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুহিবুল ইসলাম আজাদ, কর্মধার ইউনিয়নে মছলু আমিন, টিলাগাও ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মালিক ।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ১০ নভেম্বর ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিলে দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রেণুকে সভাপতি, যুগ্ম সম্পাদক একেএম সফি আহমদ সলমানকে সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং যুববিষয়ক সম্পাদক আসম কামরুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক, সাবেক এমপি ও দলের সাবেক সভাপতি আব্দুল মতিন এবং সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মুক্তাদির তোফায়েলকে সদস্য ঘোষণা করে পাঁচ সদস্যের উপজেলা আওয়ামী লীগের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এরপর তাদের দায়িত্ব দেয়া হয় এক মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের।